সম্পাদক পরিচিতি।। ‘অবেলার ডাক’ সবার জন্য সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ রিসালাত মীরবহর। তিনি ১৯৮৮ সালের ১৫ জানুয়ারী ঝালকাঠি জেলার অন্তর্গত নলছিটি উপজেলার সবুজ শ্যামলে ঘেরা রূপসী বাংলার এক অনন্য সুন্দরে ভরপুর সুজাবাদ গ্রামের কুলঘেষে বয়ে যাওয়া সুগন্ধা নদীর তীরে অবস্থিত অত্যন্ত সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবার হিসেবে পরিচিতি ‘মীরবহর’ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ সিদ্দিক মীরবহর এবং মা সৈয়দা উম্মে রুমানা। তিন ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তার ছোট দুই বোন আছে। তিনি ২০০৪ সালে রায়াপৃুর সৈয়দ আব্দুল লতিফ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ২০০৬ সালে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধিনে বাণিজ্য বিভাগে কম্পিউটার শাখায় এইচ.এস.সি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর বরিশাল অমৃত লাল দে মহাবিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
এছাড়া তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ে তার বেশ কয়েকটি সনদ রয়েছে। তিনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মাকেটিং এ একজন দক্ষ ও প্রতিভাবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলেন। অন্যদিকে তিনি একজন দক্ষ কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি মৎস চাষের উপরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি পছন্দ করেন। লেখালেখির পাশাপাশি বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ উপস্থাপক হিসেবেও কাজ করেছেন। দেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকায় তার অসংখ্য লেখা রয়েছে। তিনি কবিতা, প্রবন্ধ ও কলাম লিখে থাকেন। লেখালেখির পাশাপাশি তিনি সোস্যাল মিডিয়াতেও বেশ সরব। এছাড়া তিনি বরিশাল থেকে প্রকাশিত সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন ‘অবেলার ডাক’ এর প্রকাশক ও সম্পাদক হিসেবে দেশব্যাপী বেশ পরিচিতি লাভ করেন। তার জনপ্রিয় কবিতাগুলের মধ্যে- প্রিয় নবীজি, নদীর পাড়ে বাড়ি আমার, আমি হারিয়ে যাই, কতো ভক্ত আর স্বজন, মায়া, স্বার্থ, শিকারি বেশ উল্লেখযোগ্য।
তার দাদার নাম মৃত আলহাজ্ব মোঃ মুজাফ্ফর আলী মীরবহর। তিনি ছিলেন অত্যন্ত সৎ ও ধার্মিক একজন মানুষ। তৎকালীন সময়ে তিনি অত্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে গ্রামের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অত্যন্ত সৎ ও জনবান্ধব মানুষটিকে সবাই ‘বড় মিয়া’ নামে ডাকতেন। তিনি তৎকালীন সময়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়ে গ্রামের বিভিন্ন রাস্তা-ঘাট, খাল খনন সহ বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদান করে গেছেন। এছাড়া তিনি তার প্রজ্ঞা ও দক্ষতার মাধ্যমে গ্রামের বিভিন্ন পারিবারিক বিরোধগুলোর অত্যন্ত সুন্দর সমাধান দিতেন। এতে করে সবাই তাকে অত্যন্ত স্নেহ, ভালোবাসা ও সম্মান প্রদান করতেন।
তার বাবা মোঃ সিদ্দিক মীরবহর অত্যন্ত সৎ একজন মানুষ। তিনি অত্যন্ত ভদ্র, নম্র ও মার্জিত প্রকৃতির মানুষ। সর্বদা মানুষের উপকার করার চেষ্টা করেছেন। সহজেই মানুষকে আপন করে নিতে জানেন তিনি। সবাই তাকে আন্তরিক ভাবে ভালোবাসেন। তিনি কখনও কারও বিরুদ্ধে বিবাদে লিপ্ত হন নাই। অত্যন্ত সৎ ও ধার্মীক জীবন যাপন করেছেন। তার লেখা বেশ কিছু কবিতা রয়েছে। যার মধ্যে পরিণাম, প্রার্থনা, নীতি কথা, ঘুম পড়ানি গান, সুখ পাখি, ক্ষমতা, প্রশ্ন বেশ উল্লেখযোগ্য।
অবেলার ডাক সাহিত্য:
মোঃ রিসালাত মীরবহর ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য পরিষদ প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে বাংলা সাহিত্যকে আরও গতিশীল ও প্রচারমূখী করতে কাজ শুরু করেন। তিনি দেশের বিভিন্ন প্রন্তের লেখকদের ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য ম্যাগাজিনে সৃজনশীল লেখা প্রকাশের মাধ্যমে অবদান রাখতে শুরু করেন। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণ মেধাবী ও প্রতিভাবান লেখকদের কাছে ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য ম্যাগাজিনকে পৌছে দিতে সক্ষম হন।
এছাড়া দেশের ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, মাদকাসক্ত, দুর্নীতি, বৈষম্য, অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন। বিশেষ করে কিশোর বয়সে যাতে কেউ মাদকাসক্ত হয়ে না পড়েন সে জন্য তিনি নতুন লেখক সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করছেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য ম্যাগাজিনের প্রতিনিধি, লেখক ও পাঠক তৈরিতে কাজ যাচ্ছেন এবং লেখক ও পাঠক তৈরিতে অন্যদের কে উৎসাহ যোগাচ্ছেন।
শুধু তাই নয় ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য পরিষদের আয়োজনে বিভিন্ন জেলায় স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পর্যায়ে সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাস্তবমূখী শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বিশেষ করে মানবিকতা ও নৈতিকতার বিষয়ে তার বহুমূখী প্রচারণা চলমান রয়েছে। এছাড়া দেশের একঝাক তরুণ লেখক ‘অবেলার ডাক’ এর হয়ে সারাদেশে কাজ করে যাচ্ছেন।
‘অবেলার ডাক’ একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও অশ্লীলতা মুক্ত সাহিত্য সংগঠন। দেশ ও বিদেশের সকল নানা শ্রেণী ও পেশার মানুষদের সুস্থ্য ধারার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহ প্রদান করাই যার মূল লক্ষ্য। সবার সহযোগীতা পেলে ছোট এই উদ্যোগটি নিয়ে তিনি বহুদূর পথ চলতে চান।

প্রকাশক ও সম্পাদক