Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

Headline

Notice: To read this website in your country's language, please change the language. Contact us for advertising: +8801516332727 (What's App) Thank you.

কবি হুমায়ুন হাবিব অবেলার ডাক পরিবারের প্রথম গুণী লেখক

(কবি হুমায়ুন হাবিব)

অবেলার ডাক।। ছোট বেলা থেকেই লেখালেখি করতে পছন্দ করতাম। অনেক কবিতা লিখে রেখেছিলাম কাগজের পাতায়। কিন্তু প্রকাশ করার কোন মাধ্যম পেতাম না। ভাবতাম আমার লেখাগুলো যদি সবাই পড়তে পারতো? কিন্তু তখন তো আর এমন আধুনিক প্রযুক্তি ছিল না যে চাইলেই লেখা প্রকাশ করতে পারতাম। স্কুলে পড়ার সময় সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তর নোট করে পড়ার অভ্যস্তা ছিল। বাংলা বইয়ের কোন লাইন ভালো না লাগলে তা গুছিয়ে নিতাম নিজের মতো করে। সুন্দর ও সাবলিল ভাষায় লেখা ছিল আমার সে সব নোট খাতা। একটি প্রশ্নের উত্তর মেইন বইয়ে কিভাবে দেওয়া আছে আর গাইড বইয়ে তার উত্তর কি তা বিশ্লেষন করে নিজের মতো করে নোট সাজিয়ে নিতাম। লেখার মধ্যে শব্দের প্রয়োগ করে লেখাকে সাজানো গোছানো বিষয়টি খুবই কঠিন একটি বিষয়। যা অনেকের দ্বারা সম্ভব হয় না। কারণ এটা করতে গিয়ে সময় ও শ্রমের প্রয়োজন হয়। যা অনেকেই করতে রাজী নয়।

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়। হঠাৎ মাথায় চিন্তা আসলো একটি পেইজ খুলি। যেখানে কিছু ভালো ভালো কথা লিখি যাতে সবাই দেখতে পারে। কোন প্রকার পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না আমার। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিছুদিন এভাবে লিখলাম। হঠাৎ মনে হলো পেজটাতে যদি সবার লেখা নেই তাহলে কেমন হয়। এরপর লেখা আহবান করলাম। পেইজের নাম দিলাম ‘অবেলার ডাক’। কিন্তু তেমন কোন সাড়া পেলাম না। হঠাৎ কম্পিউটার নিয়ে বসে আছি এর মধ্যে একজন ভদ্রলোক কল দিলেন। অত্যন্ত বিনয়ের সাথে আমার সাথে আলাপ করতে লাগলেন। কিভাবে কবিতা প্রকাশ করবেন তা জানতে চাইলেন। কিন্তু তখনও আমি প্রিন্ট সংখ্যা প্রকাশ করার মতো সাহস জোগাতে পারিনি। কারণ আমি জানতাম এটা করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। যা আমার কাছে নেই। উনি ফোনে জানালেন ‘অবেলার ডাক’ ম্যাগাজিন পেতে আমি টাকা পাঠাতে চাই। অনুগ্রহ করে ম্যাগাজিনটি প্রকাশ হলে পাঠিয়ে দিবেন।

উনি জানতে চাইলেন কত টাকা পাঠাবেন? আমি তখনও বুঝে উঠতে পারছিলাম না ওনাকে আসলে কি বলবো। কারণ সম্পাদনা কিংবা প্রকাশনার বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না। কিংবা আমি যে লেখা আহবান করেছি সেটা আমি আদৌ প্রকাশ করবো কিনা সে সম্পর্কেও আমি ছিলাম বেশ সন্দিহান। আমি ওনাকে কিছু না ভেবেই বললাম প্রিয় কবি আপনি অনুগ্রহ করে ১০০ টাকা পাঠিয়ে দিবেন। ওনি বিনয়ের সাথে বললেন আচ্ছা ঠিকাছে। ফোন রেখে দিলেন। কিছুক্ষণ পর আমার বিকাশ নাম্বারে ১০০ টাকা আসলো। আমি আনন্দ ধরে রাখতে পারলাম না। এই ১০০ টাকা আমার কাছে তখন ১ কোটি টাকার মতো মনে হয়েছে। তখন আনন্দে আমি কি করবো ভেবে উঠতে পারছিলাম না। যেহেতু টাকা চলে এসেছে এখন আর পিছপা হওয়া যাবে না। যেভাবেই হোক ‘অবেলার ডাক’ প্রকাশ করতে হবে। কেননা এই মানুষটি আমাকে অত্যন্ত বিশ্বাস করে টাকাটা পাঠিয়েছেন। অবেলার ডাক’ না পেলে সেই আস্থার জায়গাটা শেষ হয়ে যাবে।

মাথায় কেবল একটি চিন্তা কিভাবে অবেলার ডাক প্রকাশ করবো? দিন যাচ্ছে চাপ তত বাড়ছে মাথায়। মাত্র ১০০ টাকা দিয়ে কিভাবে ‘অবেলার ডাক’ ম্যাগাজিন প্রকাশ করবো? আমার এমন কেউ নেই যে তার কাছে চাইবো। তখন আমার কাছে মনে হলো কত মানুষের কত টাকা। অথচ আমি একটি সুন্দর অরাজনৈতিক ও অশ্লীলতা মুক্ত একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ কতে চাইছি কিন্তু কাউকে আমার পাশে পেলাম না। এভাবে আরও কেটে গেল ১৫ দিন। মনে মনে অনেক কষ্ট পেতে লাগলাম। সম্ভবত ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করা হবে না। ১০০ টাকা দিয়ে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ সম্ভব নয়। তখন এই ধরণীকে অনেক কঠিন মনে হলো। চোখে স্বপ্ন ম্যাগাজিন প্রকাশের অথচ পকেটে পয়সা নেই। আর এ বিষয়ে কারও কাছে চাইতে গেলেও কেউ আমার পাশে দাড়াবে না। এমন মানুষ খুব কম। মানুষ অপ্রয়োজনে অনেক টাকা এদিক ওদিক খরচ করে। কিন্তু সুশিক্ষা, নৈতিকতা ও ভদ্রতা কিংবা সভ্যতা শিখতে কেইবা টাকা খরচ করবে? এগুলো অপ্রয়োজনীয় বিষয় হিসেবে আমরা অনেকেই ধরে নিয়েছি। অথচ সততা আর সামন্য একটু উৎসাহ পেলে অনেকটা পথ পারি দেওয়া যায়। কাজ করা যায় দেশের জন্য মানুষের জন্য।

হঠাৎ দেখতে পেলাম আরো দুজন আমাকে ফেসবুকে নক দিলেন। ওনারা ম্যাগাজিনটি পেতে চান। এভাবে ৭-৮ দিনের মধ্যে প্রায় ২৩ জন লেখক তাদের ম্যাগাজিন প্রাপ্তীর বিষয়টি নিশ্চিত করলেন। এবার মনের মধ্যে কিছুটা সাহস পেলাম। বেরিয়ে পড়লাম প্রেসে। গিয়ে জানতে চাইলাম একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে কত টাকা খরচ পড়বে। ওনারা জানতে চাইলো কত কপি ম্যাগাজিন প্রকাশ করবো? আমি বললাম ৩০ কপি। ওনারা বললো ৩০ কপি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আপনি ১০০ কপি ম্যাগাজিন প্রকাশ করতে চাইলে বলতে পারেন। আমি বললাম এতোগুলো আমার দরকার নেই। ওনারা জানালো তাহলে এর নিচে প্রকাশ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একপ্রকার বাধ্য হয়ে জানতে চাইলাম আচ্ছা ১০০ কপির মূল্য কত পড়বে? আমাকে যে টাকা তারা জানালো তাতে চোখ আমার ছানাবড়া হয়ে গেছে। আমি তখন কি করবো বুঝে উঠতে পারছিলাম না।

রাতে ঘুমাতে পারি না ম্যাগাজিন প্রকাশের চিন্তায়। পাশে পরিবার জানতে চাইলো বিরক্ত হয়ে ঘুমাই না কেন? আমি বললাম মানুষ টাকা পাঠিয়েছে এখন যদি ম্যাগাজিন দিতে না পারি তবে কি উত্তর দিব সবাইকে? প্রেস ১২,০০০ টাকা চায় ১০০ কপি প্রিন্ট করে দিবে। কোথায় ১২০০০ টাকা আর কোথায় ২৩০০ টাকা। আচ্ছা এখন ঘুমাও প্রয়োজনে আগামীকাল আমরা অন্য প্রেসে গিয়ে দেখব কমে পাওয়া যায় কিনা। পরদিন আবার বের হলাম দুজনে। ৫-৬টি প্রেস ঘুরলাম। কিন্তু সবার রেট প্রায় কাছাকাছি। একটি প্রেসে গিয়ে কিছুটা কম খরচে পেলাম। এরপর বাকি টাকা ধার করলাম। ধার করে তারপর প্রেসে গিয়ে টাকা পরিশোধ করে ম্যাগাজিন ছাপালাম। ছোট্ট ম্যাগাজিন। এরপর সারাদেশে ২৩ জন লেখকের হাতে ‘অবেলার ডাক’ পৌছে দিলাম। মনে বেশ প্রশান্তি পেলাম। আজ শুধু সাহিত্য ম্যাগাজিন দিয়েই নিজের দায়িত্ব শেষ করছি না। বরং বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলছি। নৈতিকতা, সভ্যতা আর মার্জিত ব্যবহারের প্রতি উৎসাহিত করছি সবাইকে। হয়তো আমার এ প্রচেষ্টাটুকু খুবই সামান্য। তবুও ভালো লাগে দেশ ও সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে।

‘অবেলার ডাক’ ম্যাগাজিনটি কখনো প্রকাশ করা হতো না যদি না প্রথম লেখক যিনি তিনি আমার সাথে বিনয়ের প্রিয় হয়ে কথা না বলতেন। কারণ তার কথায় ও ব্যবহারে তাকে আমার কাছে সভ্য মানুষ মনে হয়েছে। আর আমি সেই সভ্য জগতের বাসিন্দা হওয়ার চেষ্টায় অপেক্ষায় রয়েছি। তিনি যদি টাকা না পাঠাতেন তবে হয়তো সেদিনের সেই অনুপ্রেরণা টা আসতো না। টাকাটা বড় কথা নয় কিন্তু খুশিটা আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয় ছিলো। যখন উনি টাকাটা পাঠিয়েছেন তখন আমি সেটা দায়িত্ব হিসেবে নিয়েছি। আর এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আজ সারাদেশে ‘অবেলার ডাক’ সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিন সম্পর্কে অনেক লেখক, কবি ও সাহিত্যিক জানতে পেরেছেন। প্রায় ৪০০ লেখক, কবি ও সাহিত্যিকের উপরে লেখা ছাপানো হয়েছে ‘অবেলার ডাক’ পরিবারের বিভিন্ন মাধ্যমে। আলাদা গ্রুপ করা হয়েছে সেখানে প্রতিদিন লেখকরা কবিতা প্রকাশ করছেন, ওয়েবসাইটে অসংখ্য লেখকের কবিতা প্রকাশ করা হচ্ছে, মাসিক ই-পেপারে লেখকদের লেখা প্রকাশ হচ্ছে, সাপ্তাহিক ই-পেপারে লেখা জমা হচ্ছে। আর এসব কিছুর অনুপ্রেরণার পিছনে প্রথম লেখকের অবদান ছিলো অনেক। কারণ সেখান থেকেই আমি একটি ভালো অনুপ্রেরণা পেয়েছি সামনে এগিয়ে যাওয়ার। আজ অসংখ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিক তাদের মনের মাধুরি দিয়ে তাদের মনের কথাগুলো কে প্রকাশের সুযোগ পাচ্ছেন অবেলার ডাকে। অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য কে সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কাজটি আমার জন্য খুব সহজ ছিলো না। পরিচিত অপরিচিত অনেকেই সাহিত্যের বিষয়টি নিয়ে হাসাহাসি করেছেন। করেছেন অসংখ্য বাজে মন্তব্য। তবুও সেসব ভুলে গিয়ে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেছি সামনের দিকে। এরপর পেইজে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লেখকদের সমন্বয়ে প্রতিনিধি দিয়েছি। তারা সবাই অত্যন্ত পরিশ্রম করে অজস্র সময় দিয়ে ‘অবেলারা ডাক’ কে সবার মাঝে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। তাদের সবার কাছে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।

‘অবেলার ডাক’ সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যা থেকে সেই কবি আজও আমাদের সাথে আছেন। তিনি ‘অবেলার ডাক’ এর হাতটি ছেড়ে দেননি। তিনি সবসময় আমাদের পাশে ছিলেন। এখনো তিনি রয়েছেন। তার এই উদারতা ও ভালো কাজে এগিয়ে আসার জন্য ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য পরিবার তাকে উপদেষ্টা পদে আসীন করেছেন। শুধু তাই নয় অবেলার ডাক পরিবার তাকে ২০২৪ সালের ‘অবেলার ডাক’ এর শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে মনোনীত করেছেন। এছাড়া তিনি ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য পরিবারের আজীবন সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। আমাদের কোথাও ভুল হলে তিনি তা সাথে সাথে ধরিয়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে অনলাইন পোর্টালে কোন বানান ভুল হলে দ্রুত তিনি আমাদের জানানোর চেষ্টা করেন। আমরা সেই ভুল ঠিক করে নেই। এটা অনেক বড় একটি দায়িত্ব তিনি পালন করছেন। একটা মানুষ সেই প্রথম সংখ্যা থেকে আজ নবম সংখ্যা পর্যন্ত ‘অবেলার ডাক’ এর সাথে রয়েছেন। এমন লেখক হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন। আজ আমরা তার পরিচয় জানবো। জানবো সাহিত্য চর্চায় তার পথ চলা কেমন?

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

০২। হুমায়ুন হাবিব।। ১৯৬৩ সালের ০৭ জুলাই পুরনো ঢাকার হাজারীবাগের পৈতৃক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম হাবিবুর রহমান ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক এবং মাতা মরহুমা রোকেয়া রহমান ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, হাজারীবাগ শাখার একজন সক্রিয় সংগঠক ও সফল গৃহিণী। কবি হুমায়ুন হাবিবের শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবন, প্রৌঢ় কাল কাটে হাজারীবাগেই। বর্তমানে এই এলাকাতেই অবসর জীবন যাপন করছেন। পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন এমপিওভূক্ত বেসরকারি মাধ্যমিক পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক। সুদীর্ঘ ২৮ বছর সফলতার সঙ্গে শিক্ষকতা করেন এবং শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের পুরস্কার, (মেডেল, সনদ ও নগদ অর্থ) অর্জন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের অতি প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সাহিত্য চর্চা করে আসছেন। তাঁর রচিত অসংখ্য ছড়া, কবিতা, গল্প দেশের প্রায় সকল জাতীয় দৈনিক পত্রিকার ছোটদের পাতায়, বড়দের সাহিত্য আসরে এবং বিভিন্ন সাহিত্য ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়। তিনি সুদীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় বাংলাদেশ বেতারের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করেন। তাঁর প্রকাশিত যৌথ কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৮টি এবং একক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৩টি। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক। সন্তানদের শিক্ষা জীবন সমাপ্তির পথে। কবির সহধর্মিণী রাজধানীর আজিমপুরের একটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের  জ্যেষ্ঠ প্রভাষক। তিনি বরিশাল থেকে প্রকাশিত জনপ্রিয় ‘অবেলার ডাক’ সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনের একজন নিয়মিত লেখক হিসেবে সবার কাছে অতি পরিচিত। তিনি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------

সেদিন যদি এই মানুষটি ম্যাগাজিন প্রকাশের জন্য ১০০ টাকা না পাঠাত তবে আমি তা কখনো দায়িত্ব হিসেবে নিতাম না। আর আজকের ‘অবেলার ডাক’ সাহিত্য পরিবার যতটা সারাদেশে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে তার সবকিছুর পিছনে অসংখ্য লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের অবদান রয়েছে। আমি শুধু আমার জায়গা থেকে চেষ্টা আর সাধনা করে গেছি। ভালো থাকুক এমন ভালো মনের মানুষগুলো। যারা দিয়ে যাচ্ছে সাহিত্য জগতে অজস্র সময় আর লেখনী। হয়তো আমি একদিন থাকবো না, থাকবেন না উনিও। তবে থেকে যাবে আমাদের সুন্দর সুন্দর চিন্তা আর লেখাগুলো। যে লেখাগুলো পড়ে আগামী প্রজন্মের তরুণরা সৃজনশীল সাহিত্য চর্চায় মনোযোগী হবে। আর গড়ে তুলবে হিংসা, বিদ্বেষ, মারামারি, হানাহানি মুক্ত এক সুন্দর পৃথিবী। যে পৃথিবীতে একটি শিশু বেড়ে উঠবে স্বাধীনভাবে। মুক্ত হাসির মধ্য দিয়ে সে বিশ্ব ভ্রমণ করবে। তার প্রতিভায় উজ্জল হয়ে উঠবে মানব সভ্যতা।