মো. রিসালাত মীরবহর।। সাহিত্য চর্চা একটি সাধনা। যা সবার দ্বারা সম্ভব হয় না আবার সবাই তা ইচ্ছে করলেও পারে না। সাহিত্যকে লালন করতে হলে চাই হৃদয়ের অফুরন্ত ভালোবাসা। যে ভালোবাসা মানবে না কোন বাঁধা। আর তাই যিনি সকল বাঁধা পেরিয়ে সাহিত্যকে ভালোবাসতে পারে সেই হচ্ছে সত্যিকারের একজন সাধক। আর একজন সত্যিকারের সাধক কখনো পরাজিত হয় না। বরং তার দ্বারা সমাজ, দেশ ও সভ্যতা আলোকিত হয়। উপকৃত হয় অসংখ্য মানুষ। কেননা একজন সাহিত্যিক নিজের জন্য নয় বরং অন্য সবার জন্য লেখনী প্রতিভা কে বিকাশিত করতে কাজ করে জান। তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা দিয়ে সমাজের জন্য ভালো কিছু করার চেষ্টা করেন।
আমরা অনেকেই আমাদের বিভিন্ন লেখা দেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করে থাকি। কিন্তু অধিকাংশ লেখকদের লেখা মানসম্মত হওয়া সত্বেও তা অপ্রকাশিত থেকে যায়। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রে লেখা আহবানের নিয়ম অনুসরণ করা হয় না। দেশের অসংখ্য মাধ্যমে লেখা পাঠানো যায়। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন প্লাটফর্মের বিভিন্ন নিয়ম থাকতে পারে। অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম অনুসরণ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ লেখক সে নিয়ম অনুসরণ করেন না। ফলে অনেকের লেখা অপ্রকাশিত থেকে যায়। কি কি কারণে আসলে লেখা অপ্রকাশিত থেকে যায় সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো:
◉ অবেলার ডাক ম্যাগাজিনে ৩টি ফরমেটে লেখা আহবানের করা হয়। ই-পেপার, ওয়েবসাইট ও ম্যাগাজিনের জন্য। অনেক লেখক লেখা পাঠান ই-মেইলে কিন্তু তারা অধিকাংশ সময় ই-মেইলের বিষয়ে উল্লেখ করেন না যে, আসলে লেখাটি কোন ফরমেটে প্রকাশ করতে হবে? ই-পেপার, ওয়েবসাইট নাকি ম্যাগাজিনে? বিষয়টি সম্পাদক কে খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়।
◉ অবেলার ডাক ম্যাগাজিনে লেখা পাঠানোর সময় অধিকাংশ লেখক ই-মেইলে তাদের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার সহ অন্যান্য তথ্য প্রদান করেন না। ফলে লেখাটি অধিকাংশ সময় প্রকাশ করা সম্ভব হয় না।
◉ অনেক সময়ে ই-মেইলের বিষয়ে উল্লেখ থাকে না আপনি গল্প/কবিতা/প্রবন্ধ লিখে পাঠিয়েছেন কিনা? যেমন হওয়া উচিত: কবিতা: মাহে রমজান (প্রিন্ট সংখ্যার জন্য) অথবা গল্প: শেষ প্রান্তে (ওয়েবসাইটের জন্য) অথবা কবিতা: ছোট খোকা (ই-পেপারের জন্য) এভাবে বিষয়ে লিখতে হয়।
◉ অধিকাংশ সময় লেখকরা লেখা আহবানের নিয়ম না পড়ে না দেখে লেখা পাঠিয়ে থাকেন। ফলে অধিকাংশ সময়ে লেখা আহবানের নিয়ম অনুসরণ করা হয় না বিধায় লেখা প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। এটি সবচেয়ে বেশি ঘটে থাকে।
◉ ই-পেপার, ওয়েবসাইট ও ম্যাগাজিনের জন্য অবেলার ডাক ওয়েবসাইটে লেখা আহবানের ঘোষনা দেওয়া থাকে। যা পেইজে সবসময় প্রদান করা হয়। কিন্তু পেইজের সাথে যুক্ত না থাকার কারণে সেগুলো অনেকেই দেখতে পারেন না। তাই আমরা সবসময় বলে থাকি আমাদের পেইজে লাইক/ফলো দিয়ে যুক্ত হওয়ার জন্য। কিন্তু অধিকাংশ সময় লেখকরা তা করেন না। ফলে তারা লেখা ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত ঘোষণা দেখতে পারেন না কিংবা জানতে পারেন না।
সর্বোপরি একটি মানসম্মত লেখা যদি নিয়ম মেনে ই-মেইল করা হয় তবে সেটা অবশ্যই প্রকাশের চেষ্টা করা হয়। তবে তার জন্য উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরী। কিন্তু এসব নিয়ম মানা হয় না বলেই অনেক লেখকের লেখা প্রকাশ সম্ভব হয় না। আর তখন লেখকের পক্ষ থেকে অভিযোগের শেষ থাকে না। তাই নিয়মটাকে এজন্য গুরুত্ব দেওয়া হয় যাতে একটি লেখা সুশৃঙ্খল আকারে প্রকাশ করা সম্ভব হয়। যাতে সেই পরিচ্ছন্ন লেখাটি পড়ে পাঠক হৃদয়ে সাড়া ফেলতে পারে এবং পরবর্তীতে তারা আরও বেশি পাঠে মনযোগী হয়ে উঠতে পারে।