Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

Headline

Notice: To read this website in your country's language, please change the language. Contact us for advertising: +8801516332727 (What's App) Thank you.

কেন খাবেন থানকুনি পাতা?


মোঃ রিসালাত মীরবহর।। মানুষ বেঁচে থাকার জন্য খাবার গ্রহণ করে থাকে। বিশেষ করে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার গ্রহণ করা আমাদের জন্য খুবই জরুরী। কিন্তু এই খাবার খেতে গিয়ে আমাদের পেটে নানা রকম সমস্যা হয়। তার মধ্যে পেট ব্যাথা, আমাশয়, গ্যাসের প্রচন্ড সমস্যা, টক ঢেকুর ওঠা, পেট কামরানো সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যারা অতিরিক্ত মাত্রায় ভাজা পোড়া তৈলাক্ত খাবার খান তাদের মধ্যে সমস্যা বেশ প্রকট। অনেকেই অনেক সময় তীব্র পেটে ব্যাথায় ভোগেন কিংবা গ্যাসের সমস্যায় ভোগেন। ফলে ওষুধের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু হাতের কাছে এই থানকুনি পাতা ভালো ভাবে ধুয়ে কাঁচা চিবিয়ে খেলে দ্রুত এসব সমস্যা দূর করা সম্ভব।

থানকুনি পাতার উপকারিতা:
১৭ শতক থেকেই আফ্রিকা, জাভা, সুমাত্রাতেও থানকুনি পাতা ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও এই পাতা খুবই উপকারী। নিয়মিত থানকুনি পাতা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বিশেষজ্ঞরা থানকুনি পাতা খাওয়ার উপর বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন। থানকুনি একটি বহুবর্ষজীবী লতানো উদ্ভিদ। থানকুনি অতি পরিচিত এক ভেষজ উদ্ভিদ। সাধারণত ক্ষেতের ধারে, পুকুর পাড়ে কিংবা ডোবার পাশে বেড়ে ওঠা এই উদ্ভিদের রয়েছে বহুগুণ। থানকুনির পাতা ক্ষত সারাতে, পেটের অসুখ দূর করতে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি এমনকি সৌন্দর্যচর্চায় প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এটি ভারত, শ্রীলঙ্কা, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মাদাগাস্কার, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং পূর্ব ইউরোপেও জন্মে। থানকুনি পাতার ব্যবহার করা যায় খাদ্য এবং ওষুধ উভয় হিসেবেই। শেকড় সহ এর পুরো অংশই খাওয়া যায়। ভর্তা, ভাজি, বড়া তৈরির পাশাপাশি এই পাতা দিয়ে চাটনি, সালাদ এবং পানীয়ও তৈরি করা যায়। থানকুনির অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্যর কারণে এটি পেট এবং মূত্রনালীর সংক্রমণ দূর করতে সাহায্য করে। পেটের আলসার এবং মূত্রনালীর সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে থানকুনি পাতা বেশ উপকারি।


এছাড়া হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও থানকুনি পাতার উপকারিতা রয়েছে। যারা পেটের নানা সমস্যায় ভুগছেন তারা প্রতিদিন সকালে একটি পাকা কলার সঙ্গে কিছু থানকুনি পাতা খেতে পারেন। এমনটাই পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এভাবে নিয়মিত খেলে তা আপনার পেটের স্বাস্থ্য এবং লিভার দুটোই ভালো রাখবে। যেকোনো ক্ষত দ্রুত নিরাময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন থানকুনি পাতা। এর আছে অ্যান্টিবায়োটিক বৈশিষ্ট্য যা খুব তাড়াতাড়ি ক্ষত সারাতে সাহায্য করে।

ক্ষত নিরাময়ের গতি ত্বরান্বিত করতে এবং ত্বকের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য থানকুনি পাতা ক্ষতস্থানে প্রয়োগ করেও ভালো ফল পাওয়া যায়। এছাড়া যারা আর্থ্রাইটিস বা বাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী হতে পারে থানকুনি পাতা। এটি প্রদাহ দূর করতে সাহায্য করে। বাতের চিকিৎসার অংশ হিসেবে চিকিৎসকরা নিয়মিত থানকুনি পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন। প্রতিদিন অন্তত দুটি থানকুনি পাতা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে বাতের সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে থাকবেন। এছাড়া যারা মানসিক সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্যও খুব ভালো উপকার পাওয়া যায় থানকুনি পাতার রসে।

থানকুনি স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে মানসিক চাপ আর অস্থিরতা দুই কমে। এর ফলে অ্যাংজাইটির আশঙ্কাও কমে যায়। এছাড়া যাদের ঘুম না আসার সমস্যা রয়েছে তারাও খেতে পারেন থানকুনি পাতা ভেজানো পানি। এতে স্নায়ু শিথিল হবে। ঘুমও দারুণ হবে। চুল পড়া নিরোধকারী পণ্যে অনেক সময় থানকুনির নির্যাস ব্যবহার করা হয়। এর অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান মাথার ত্বকে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।


থানকুনি পাতার অপকারিতা:

উপকারিতা রয়েছে এমন প্রতিটি জিনিসেরই বিপরীত দিক রয়েছে। একইভাবে থানকুনি পাতার যেমন ভেষজগুণ রয়েছে, তেমনি রয়েছে অপকারিতাও। চলুন জেনে নিই থানকুনি পাতার ক্ষতিকর দিকগুলো।

◉ থানকুনি পাতা যেমন পেটের ব্যথা দূর করে তেমনি প্রয়োজনের বেশি খেলে পেটের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। তাই পরিমিত খেতে হবে।
◉ যাদের লিভারের সমস্যা আছে তারা থানকুনি পাতা কোনোভাবেই খাওয়া যাবে না। এতে শারীরিক নানা সমস্যায় পড়তে পারেন।
◉ অপারেশন করেছেন এমন রোগীদের থানকুনি পাতা না খাওয়ায় ভালো।
◉ প্রয়োজনের বেশি খেলে মাথা ঘোরাসহ নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
◉ থানকুনির পাতা থেকে অ্যালার্জি, খোশ-পাচড়াও হতে পারে।

Risalat Mirbahar
Writer & Editor: Obalardak
E-mail:
 obalardak@gmail.com,
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +8801516332727 (What's App)
Copyright Ⓒ 2025 । All Right Reserved By Obalardak [Click More]