মোঃ রিসালাত মীরবহর।। মানুষ সামাজিক জীব। সে হিসেবে মানুষ তার সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সবার সাথে কথা বলবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা করবে কিংবা পরিচিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ আমরা অধিকাংশ মানুষ জীবনকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে চাই। আর তাই আমরা আমাদের জীবনে জন্য খুজে নেওয়ার চেষ্টা করি প্রিয় মানুষগুলোকে। হয়তো আমরা কখনও কখনও প্রিয় মানুষ খুজে পাই আবার কখনও বা পাই না। যদি জীবনের জন্য সত্যি কোন ভালো মানুষ খুজে পাই তবে আমরা তাকে পৃথিবীর সবচেয়ে আপন মানুষ হিসেবে বিবেচনা করে নিজের অজান্তে ঠাই দেই নিজ মনে। হয়তো এই ঠাই দেওয়ার নাম বিশ্বাস আর ভালোবাসা। কিন্তু কখনও কখনও জীবন পথ চলতে গিয়ে সে বিশ্বাস আমাদের হারিয়ে যায়। আমরা খুজে পাই আমাদের জীবনের জন্য চরম হতাশা, কষ্ট, দুঃখ, ব্যাথা, বিরহ কিংবা বেদনা।
একটি সন্তান সেই ছোট থেকে বড় হতে থাকে বাবা-মায়ের অনেক আদর যত্নে। সন্তানকে বড় করতে গিয়ে অনেক কাঠখোড় পোহাতে হয় সেই পিতা-মাতা কে। দিনের পর দিন তারা খেয়ে না খেয়ে সন্তানের ভালোর জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যায়। বিনা বাধায় একের পর এক আবদার পূরণ করতে থাকেন আদরের সন্তানের জন্য। অথচ সন্তান হয়তো তার বয়সের খেয়ালে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না বাবা-মায়ের সেসব কষ্টগুলোকে। শত কষ্টের মাঝেও সন্তানের সামনে হাসি-খুশি থাকেন বাবা-মা। আদরের এতটুকু যেন কমতি নেই। যখন যা প্রয়োজন তা এনে হাজির করেন সন্তানের জন্য। উদ্দেশ্য কেবল সন্তান মানুষের মত মানুষ হবে। বড় হয়ে সে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করবে। এর বাইরে বাবা-মায়ের তেমন কোন চাওয়া পাওয়া নেই বললেই চলে।
অথচ আমরা সন্তানরা বাবা-মায়ের চেয়েও বেশি ভালোবাসতে থাকি আমাদের জীবনে আসা স্বল্প সময়ের জন্য কিছু অপরিচিত মানুষকে। কখনও কখনও হয়তো তারা আমাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিতে পরিণত হয়ে ওঠেন। তাদের সাথে একসাথে পড়তে গিয়ে স্কুল, কলেজ কিংবা পার্কে দিনের পর দিন বন্ধুত্বের সুবাদে তৈরি হয় ভালো লাগা। সেখান থেকেই জন্মায় বিশ্বাস। আর এই বিশ্বাস থেকে শুরু হয় বালোবাসা। এই বিশ্বাসের শক্তি যে কোন কিছুকে অতিক্রম করে যেতেও যেন দ্বিধা করে না। শুধু বাস্তব জীবনেই এমনটি হয় তা নয়। ভার্চুয়াল জগতেও এই ভালো লাগার একটি বড় প্রভাব রয়েছে। অপরিচিত মানুষের সাথে স্যোসাল মিডিয়ার সুবাদে দিনের পর দিন কথা বলতে গিয়েও তৈরি হচ্ছে এমন অজানা বিশ্বাস। অনেকেই হয়তো আমরা এটাকে নেহাত বয়সের ত্রুটি বলে বিবেচনা করতে পারি।
যেখানে বয়সের গন্ডিটাই আমরা পেরুতে পারিনি সেখানে আমরা বুঝে গিয়েছি ভালোলাগা কাকে বলে। না চাইলেও যেন তখন সম্পর্কের দেয়ালে আটকে যাচ্ছি আমরা। প্রতিদিনই তৈরি হয় নতুন গল্প, নতুন ভালোলাগা কিংবা নতুন ভালোবাসা। একপ্রকার উন্মাদ হয়ে যাই প্রিয় মানুষটার সাথে দেখা করার জন্য কিংবা কথা বলার জন্য। সময় যত গড়ায় ভালোবাসা তত হাত বাড়ায়। মায়া টা বুঝি অল্প সময়ে খুব বেশি হয়ে ধরা দেয় মনের মাঝে। পৃথিবীর সকল মায়া তখন অবুঝ মনের সেই ভালোলাগার মানুষটার মধ্যেই দেখতে পাই। আমাদের ধারণা হয়তো এই মানুষটি বুঝি জীবনের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযুক্ত। তাকে না পেলে হয়তো জীবনের অনেক কিছুই হারিয়ে যাবে। অজানা অচেনা ভালোলাগার এই দোলাচলে নিজেকে জড়িয়ে উপভোগ করতে চাই অনাগত ভবিষ্যত জীবনকে।
অথচ জীবন সমীকরণ এত সহজ নয় সে ধারণাটা বোধহয় বয়সের স্বল্পতায় আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারি না। ভালোলাগার স্রোত যেদিকে যায় হয়তো আমরা সবকিছু ঠিক রাখার জন্য সেদিকেই চলতে বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করি। অথচ এতদিন ধরে যারা অনেক কষ্টে লালন পালন করে আসছে তাদের নিয়ে ভাববার বিন্দুমাত্র প্রয়োজনটুকু মনে করি না আমরা। নিজের ভালোলাগা কে প্রাধান্য দিতে গিয়ে হয়তো আমরা ভুলেই যাই তাদের।সবকিছুকে পিছনে ফেলে তখন আমরা দূর আকাশের দিকে কল্পনার জগতে ভেসে বেড়াই নতুন কোন স্বপ্নের খোজে। যে স্বপ্ন আমদের কে আরও বেশি কল্পনার জগতে প্রবেশ করিয়ে দেয়। মনের ভাবনাগুলোকে তখন আরও বেশি উচ্চতায় নিয়ে যায় একপ্রকার বিনা বাধায়। বাড়িয়ে দেয় আমাদের মনের ঘুমন্ত আবেগ কে। একে অপরের প্রতি তখন নতুন এক সুখ রচনার কল্পনায় ভাসতে শুরু করি অদৃশ্য কোন এক মায়ায় পড়ে।
কিছুদিন আগের কথা আমার এক আত্মীয় হসপাতালে ভর্তি। তাকে দেখতে গিয়ে জানতে পারলাম নতুন এক বাস্তবতা। চমকে ওঠার মতো সে ঘটনা। মাত্র ইন্টারে পড়ুয়া একটি মেয়ে তার ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে ভালোবাসার কল্পনার জগতে ভাসতে ছিল। নতুন নতুন গল্প আর আড্ডায় কখন যে বিশ্বাসের সেই জায়গাটা তৈরি হয়ে গেছে তা টেরই পায়নি মেয়েটি। দু‘জনার প্রেম যত গভীর হয় ততই ভালোলাগা বেড়ে যায়। বয়সের ভুলে দু’জনেই এই অল্প বয়সে বোধ করে একান্ত কিছু সময় কাটানোর। হাসপাতালের পাশের বেডের মানুষগুলো জানালো মেয়েটি প্রেগনেন্ট। সবাই মেয়েটিকে দেখতে গিয়ে ঘৃণা ভরা কন্ঠে ফিরে আসলো। যেন মেয়েটিকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মেয়েটি অঝোড়ে কাঁদছে। হয়তো অনাগত সেই শিশুটি আর পৃথিবীর আলো দেখতে পাবে না। হাসপাতালের কোন একটি দেয়ালে তার জীবনের ইতি ঘটবে।
উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণীদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশ লক্ষণীয়। তাদের আবেগ, তাদের ভালোলাগা, তাদের মন্দলাগা, তাদের ভুলগুলো, তাদের প্রাধান্য না দেওয়া সবকিছুই থেকে যায় অজানা। হয়তো তার মনের সব কথাগুলো সে সবার কাছে শেয়ার করতে পারছেনা। কিংবা তার অল্প বয়সের এই ভালো লাগাটাকে সে কাউকে ভয়ে বলতে পারছেনা। ফলে তার অবুঝ মনের করা ভুলে সে একসময় আটকে যায়। আর তখন পৃথিবীটাকে মনে হয় বড্ড অচেনা। পৃথিবীর সবাই সবাইকে সত্যিকারে ভালোবাসবে বিষয়টি এমন নয়। কেউ কেউ জীবনে আসে সুন্দর পৃথিবীর এই সৌন্দর্য থেকে কাউকে না কাউকে বঞ্চিত করতে। আমরা যখন বুঝে উঠতে পারি যে, আসলে আমরা ভুল করেছি। ততক্ষণে আমাদের হয়তো অনেক দেরি হয়ে যায়। সেই ভুলের মাসুলটা গুনতে হয় কখনও কখনও আমাদের জীবন দিয়ে।
তরুণ তরুণীদের এমন বেপরোয়া জীবন যাপনে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা তাদের কে ঠেলে দিচ্ছে ভয়ানক আত্মহত্যার ফাঁদে। আর সেই ফাঁদে পা দিতে গিয়ে জীবন হারাচ্ছে অনেকে। আমরা চাইনা এই পৃথিবী থেকে কেউ নিজ ইচ্ছায় হারিয়ে যাক। মহান আল্লাহ তার সুন্দর সৃষ্টি দিয়ে আমাদের কে এই পৃথিবীতে পাঠিছেন। আবার আমরা তার হুকুমেই তার ডাকে সারা দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ত্যাগ করতে চাই সুন্দর এই পৃথিবী। হয়তো অনেকের অনেক হতাশা থাকে, থাকে দুঃখ-কষ্ট, বিরহ বা বেদনা। জীবন চলার পথে যত বিপদ কিংবা হতাশা আসুক না কেন নিজেকে ধরে রাখতে হবে সবার আগে। জানি ভুল করেছি তবুও ক্ষমা চেয়ে মহান আল্লাহর কাছে নতুন ভাবে বাঁচার চেষ্টা করতে হবে।
মহান আল্লাহ পবিত্র আয়াতে বলেন, হে আমার বান্দাগন! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি জুলুম করেছো, আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে তোমরা হতাশ হয়ো না, নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গুণাহ ক্ষমা করে দিবেন। নিশ্চই তিনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু (সূরা যুমার, (৩৯), আয়াত, ৫৩)। সূরা ইউসুফের ৮৭ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না, নিশ্চয় কাফির সম্প্রদায় ছাড়া কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না।’ (সূরা ইউসুফ, ১২:৮৭) এছাড়াও, সূরা তাওবার ৪০ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘হতাশ হয়ো না, অবশ্যই আল্লাহ তোমাদের সাথে আছেন।’ (সূরা আত তাওবা ৯:৪০)।
আমি আরেকটি ভাইয়ের সাথে কথা বললাম, তাকে বেশ অসুখী মনে হলো। তাকে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে। উত্তরে সে তার জীবন নিয়ে হতাশায় রয়েছে বলে জানালো। কারণ জানতে চাইলে সে বলল, একটি মেয়েকে ভালোবেসে তাকে না পাওয়ার আক্ষেপ তার মনে নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করেছে। ফলে সে তার জীবনকে মূল্যহীন ভাবছে। আর তাই সে জড়িয়ে পড়ছে মাদকের মত ভয়ংকর নেশায়। কষ্টে, দুঃখে আর ক্ষোভে সে তার জীবন কে নিয়ে যাচ্ছে মৃত্যুর দুয়ারে। আমি ভাইটির কাছে জানতে চাইলাম, আচ্ছা নিজের জন্য কিছু করা যায় না। মানে ধরুন এতদিন তো আমরা আমাদের সব ভালোবাসা, আদর, যত্ন, মায়া, বিশ্বাস সবকিছু অন্যের জন্য রেখেছিলাম। আজ থেকে না হয় নিজের জন্য সবকিছু করলাম। মানে নিজেকে ভালোবাসলাম, নিজের জন্য নিজের মনের মধ্যে একটি ভালোবাসার ঘর বানালাম। যে ঘরে কেবল নিজের জন্য সবকিছু করা।
সবকিছু সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা। অর্থাৎ অন্যকে যেভাবে ভালোবাসা যায় বিশ্বাস করা যায় ঠিক সেভাবে করে নিজেকে ভালোবাসা বা বিশ্বাস করা। ভাইটি আমার কথা খুব মনযোগ দিয়ে শুনলো এবং উত্তরে জানালো, এমন করে তো আগে কখনও চিন্তা করিনি। তাইতো আমি কেন অন্যের মিছে মায়ায় পড়ে নিজের জীবন কে কষ্ট দিচ্ছি। আমি আবারও তাজে বললাম, আমরা কেন আমাদের ভালোবাসার মতো মূল্যবান একটি বিষয়ের নিয়ন্ত্রণ অজানা অচেনা একজন মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছি। যার কথায় আমি ভালো থাকবো আবার যারা কথায় আমি খারাপ থাকবো। এই নিয়ন্ত্রণটা কি আমাদের কাছে থাকলে ভালো হয় না? তাহলে কেউ আর আমাদের চাইলেও কষ্ট দিতে পারবে না। আর আমরাও ভালো থাকতে পারবো। ভাইটি উত্তরে হ্যাঁ জানালো। তাইতো এরকম করে তো আগে কখনও ভাবিনি।
সবচেয়ে ভালো হয় আপনি শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবন যাপন করুন। অপরাধ, অন্যায় করা থেকে বের হয়ে আসুন। সম্পূর্ণ ধর্মীয় জীবন যাপন করুন। যা আপনাকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। আত্মহত্যা কোন সমাধান নয়। তার চেয়ে নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করুন। যেভাবে একটি ছোট্ট শিশু হাটতে গিয়ে পড়ে যায় আবার দাড়ানোর চেষ্টা করে। একসময় ঠিকই সে কারও সাহায্য ছাড়াই হাটতে পারে। আপনি যদি একটু একটু করে এভাবে আপনার মনের রাগ, ক্ষোভ, হিংসা, অহংকার, পরনিন্দা চর্চা, লোভ থেকে বের হয়ে আসতে পারেন তবে আপনার জীবন হবে অনন্য। আপনি এক অনন্য মানুষ। আপনার মধ্যে যে অদম্য শক্তি আছে তা দিয়ে পৃথিবী জয় করা যায়। কেবল চাই ইচ্ছে আর প্রচুর অধ্যবসায়।
যুগে যুগে পৃথিবীতে অনেক গুণী মানুষ এসেছেন যারা জীবনে বহুবার ব্যার্থ হয়েছেন। বহুবার তারা নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন। তবুও তারা শেষ পর্যন্ত নিজেকে ধরে রেখেছেন। করেছেন প্রচুর অধ্যবসায়। ফলে দিনশেষে সফলতা তাদের কাছেই ধরা দিয়েছে। এ জীবনে অনেক ভালো কিছু করার আছে। যা আপনি চাইলেই করতে পারেন। মানবের কল্যাণেই মানুষের কল্যাণ নিহিত। আপনি এক অনন্য মানুষ হিসেবে নিজেকে কখনও ছোট ভাববেন না। মনে রাখবেন কোটি কোটি ভ্রুণ কে পরাজিত করে সুন্দর এই পৃথিবীতে আপনার আগমন হয়েছে শুধুমাত্র হতাশা বরণ করার জন্য নয়। বরং মহান আল্লাহ আপনাকে যে উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন সেই সৃষ্টির রহস্য জানার জন্য। নিশ্চই তিনি আপনাকে কিছু দায়িত্ব দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। অতএব সে দায়িত্ব পালন না করে পৃথিবী ত্যাগ করা হচ্ছে আপনার জন্য একটি বড় পরাজয়। আর পরাজিত মানুষ কখনও সুখী হয় না। না এপারে না ওপারে।
তাই আসুন নিজেকে চিনি। নিজেকে আবিস্কার করি সুন্দর সব কর্মময় জীবন দিয়ে। জীবনে হতাশা, ব্যার্থতা, রাগ, কষ্ট, দুঃখ আসবে। এটা জীবনের নিয়ম, জীবনের অংশ। যেমটি আসে ধরণীর বুকে মেঘলা আকাশ, আবার প্রচন্ড বাতাস, আবার কখনও কখনও প্রচন্ড রোদ কিংবা ঝড়ো আবহাওয়া। কোন কিছুই পৃথীবিতে স্থীর নয়। তাইতো কবি নিতান্তই বলেছেন, মেঘ দেখে কেউ করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য্য হাসে। অর্থাৎ কষ্টের পর জীবনে নেমে আসে সুখের ছোয়া। যেমনি ভাবে দিনের আলো হারিয়ে যায় রাতের আধারে। আবার রাতের আধার হারিয়ে যায় দিনের আলোর শেষে। আমরা জীবনের অর্থ বুঝি না বলেই আমরা হতাশ। হতাশা আসবে, হতাশা থাকবে আবার হতাশা চলেও যাবে। শুধু নিজেকে সময়ের জন্য ধরে রাখতে হবে। আমরা যেন সতর্ক হই যে মানুষটিকে জীবনের জন্য নির্বাচন করি সে মানুষটি যেন মানুষের মত মানুষ হয় সে বিষয়ে।
আত্মহত্যা নয় বরং নিজেকে ধরে রাখাই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে বড় সফলতা। আমার বা আপনার জন্ম তখনই স্বার্থক হবে যখন আমরা এই পৃথিবীর জন্য সত্যিকারে ভালো কিছু রেখে যেতে পারবো। অন্তত দিন শেষে কিছু মানুষের মুখে আপনার আমার নামটি উচ্চারিত না হলেও যেন কেউ বলতে না পারে আপনার বা আমরা দ্বারা মানবের ক্ষতি হয়েছে। মনে রাখতে হবে এই সুন্দর পৃথিবীর প্রয়োজনে একদিন আমার আগমন হয়েছে। তাই আমরা আমাদের ইচ্ছে অনুযায়ী প্রকৃতির নিয়মগুলোকে যেন না বদলাই না ভাঙ্গি। তাহলে প্রকৃতি হারিয়ে যাবে আর হারিয়ে যাবো আমরা। ভালো থাকুক জগতের সকল মানুষগুলো। সবার জন্য রইলো শুভকামনা।
Risalat Mirbahar
Writer & Editor: Obalardak
E-mail: obalardak@gmail.com,
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +8801516332727 (What's App)
Copyright Ⓒ 2025 । All Right Reserved By Obalardak [Click More]
Writer & Editor: Obalardak
E-mail: obalardak@gmail.com,
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +8801516332727 (What's App)
Copyright Ⓒ 2025 । All Right Reserved By Obalardak [Click More]