[মোঃ রিসালাত মীরবহর, প্রকাশক ও সম্পাদক: অবেলার ডাক। সবার জন্য সাহিত্য]
অবেলার ডাক সম্পাদকের বিশেষ স্বাক্ষাৎকার:
উপস্থাপক: আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন রিসালাত ভাই?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: ওয়ালাইকুম আসসালাম। জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আপনি কেমন আছেন?
উপস্থাপক: জি ভালো আছি।
উপস্থাপক: কেমন যাচ্ছে আপনার দিনকাল?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: জি আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
উপস্থাপক: আপনার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: জি অবশ্যই, বলুন কি জানতে চান?
উপস্থাপক: কত বছর ধরে সোস্যাল মিডিয়ায় পথ চলছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: সোস্যাল মিডিয়ার এই জগতে পা রেখেছি ২০০৬ সাল থেকে। এখন ২০২৫ সাল অর্থাৎ ১৯ বছর।
উপস্থাপক: এই দীর্ঘ পথ চলায় আপনার অনুভূতি কেমন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: এই দীর্ঘ পথ চলায় আজ পর্যন্ত কাউকে সোস্যাল মিডিয়ায় হয়রানি করিনি। কাউকে কুটুক্তি করে কোন বক্তব্য লিখিনি। না জেনে কারও বিষয়ে কোন মন্তব্য করিনি। অজথা কোন বিষয় নিয়ে কারও সাথে তর্কে লিপ্ত হইনি। কারও সাথে অসৌজন্যমূলক আচারণ করিনি। কারও বিষয়ে মিথ্যা রটাইনি। নিদিষ্ট কোন রাজনৈতিক দল বা মতের প্রচার প্রচারণা চালাইনি। কারও এজেন্ডা হয়ে কাজ করিনি। মিথ্যাকে সত্য আর সত্যকে মিথ্যা বানাই নি। কারও সম্মান হানী হয় এমন কাজ বা কথা বলিনি। এজন্য বেশ ভালো লাগছে। আলহামদুলিল্লাহ অনেকটা সুন্দর সময় পাড় করে এসেছি।
উপস্থাপক: সোস্যাল মিডিয়ায় পথ চলতে গিয়ে কখনও প্রতিবন্ধতার স্বীকার হয়েছেন কি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: প্রতিবন্ধকতা বলতে অনেক কিছুই ছিলো। দীর্ঘ পথ চলায় অনেক প্রতিবন্ধকতার সামনাসামনি হতে হয়েছে। যেমন: আইডি হ্যাক হওয়ার মতো ঘটনা, দেশ-বিদেশ থেকে ছিলো নানা প্রলোভন, ছিলো মুঠো ফোনে হুমকি। এছাড়া ছিলো পরিচিত বিভিন্ন মানুষের বাজে মন্তব্য। কখনও কখনও বাস্তব জীবনেও অনেক সময় হতে হয়েছে হেনস্থার স্বীকার।
উপস্থাপক: কবে থেকে সাহিত্য জগতে পা রাখেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: ২০২২ সালে আসলে সাহিত্য নিয়ে কাজ করা শুরু করি। একেবারেই অনবিজ্ঞ একজন মানুষ আমি। তবে সাহিত্যের প্রতি প্রবল দূর্বলতা বা ভালোবাসা সবসময়ই রয়েছে আমার। আমি মনে করি সাহিত্য বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই নগণ্য। সাহিত্য চর্চার জন্য বাংলা নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স করাটা খুবই জরুরি। কারণ ভাষাগত অনেক বিষয় থাকে। যেমন: ভাষার প্রয়োগ, বাক্যের ব্যবহার বা বাক্যের শৃঙ্খলা ইত্যাদি। এগুলো আমার লেখায় আছে কিনা আমি আসলে বলতে পারবো না। যারা পাঠাক আছেন তারা হয়তো জানেন বা বলতে পারবেন।
উপস্থাপক: কোন বিষয় নিয়ে পড়াশুনা করেছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আমি আসলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে অনার্স পড়তে শুরু করি। পড়েছি সক্রেটিস কিভাবে গণতন্ত্রের জন্য হ্যামলক নামক বিষক্রিয়ায় মৃতু্বরণ করেন। পড়েছি রুশোর সেই লেখনী প্রতিভা যার জন্য ফরাসি বিপ্লব তরান্বিত হয়েছিল। পড়েছি প্লেটোর আদর্শ রাষ্ট্রের চিন্তা ও দর্শনচেতা মতবাদ। পড়েছি এরিষ্ট্রটলের বিখ্যাত The Politics বইয়ের কিছু অংশ। এছাড়া ম্যাকিয়াভেলি সহ আরও অনেক রাষ্ট্র চিন্তাবিদদের চিন্তাগুলোকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছি। কোন কোন চিন্তাবিদদের চিন্তার সাথে আমি সহমত হতে পারিনি। আবার অনেকের চিন্তাগুলোকে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এছাড়া পড়েছি রোমান সাম্রাজ্য, গ্রীক সভ্যতা সহ বেশকিছু রাষ্ট্র চিন্তা। পড়েছি আধুনিক রাষ্ট্রচিন্তা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পর্কে। ছোটবেলা থেকে রেডিও তে খবর শুনতাম। আন্তর্জাতিক বিশ্বের খবর শুনতে খুব ভালো লাগতো। বিশেষ করে বিবিসি বাংলা, DW রেডিও, রেডিও তেহেরান, চীনা ভাষায় বাংলা সংবাদ। ফলে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চিন্তা টা আমাকে খুব পেয়ে বসেছিলো। একসময় সেই চিন্তা থেকে প্রায় ৭০-৮০ টি দেশের নাম, রাজধানী ও মুদ্রার নাম মুখস্ত করে ফেলি। এমন কি সেসব দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণের বিষয়ে ছিলো আমার স্পষ্ট ধারণা। খুব ভালো লাগতো তখন এ বিষয়গুলো নিয়ে স্ট্যাডি করতে।
উপস্থাপক: বাংলা নিয়ে পড়েননি পড়েছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে। একজন সাহিত্যিক হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে পুরোপুরি ভিন্ন দু’টি বিষয় হয়ে গেল না?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আসলে এখানে দু’টি বিষয় লক্ষ্যনীয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়লেই কেউ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব হয়ে ওঠেনা আবার বাংলায় অনার্স-মাষ্টার্স না করেও সে আমার মতো একজন খুবই সামান্য সাহিত্যিক হয়ে উঠতে পারে। অবস্থা যাই হোক না কেন আপনার চিন্তা আপনাকে কোন না কোন ভাবে একটি বন্দরে পৌছে দিবে।
উপস্থাপক: সাহিত্য চর্চার ক্ষেত্রে সহযোগী পেয়েছিলেন কাউকে?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: হ্যা, অনেক মানুষকেই পাশে পেয়েছি। সাহিত্য জগতে পা রাখতে দেশ বিদেশের অনেক গুণী মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, কথা হয়েছে। চেষ্টা করেছি সবাইকে আগলে রাখতে। সাহিত্য চর্চায় একজন সামান্য লেখক থেকে একজন সামান্য সম্পাদক হয়ে ওঠাও ছিলো আমার জন্য বেশ কঠিন। যেহেতু আমি একেবারেই অদক্ষ একজন মানুষ। তাই পথ চলতে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে সাহিত্য চর্চায় আমার জীবনের গভীর অন্ধকার সময়ে এগিয়ে এসেছেন দেশ বিদেশের বেশ কিছু গুণী মানুষ। সাহিত্যে আমার সেই যাত্রায় অন্ধকার পথকে আলোকিত করে দিয়ে গেছেন নানা প্রন্তের সেই সব গুণী মানুষগুলো। সবার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা ও অবিরাম ভালোবাসা।
উপস্থাপক: সাহিত্য চর্চায় পারিবারিক সাপোর্ট আসলে কতটা পেয়েছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আসলে পথ যত কঠিন হোক না কেন যদি সে পথে ভালো সঙ্গী পাওয়া যায়, তবে পথের ঠিকানা পাওয়া কঠিন কিছু না। সাহিত্য চর্চায় পরিবারের অনেক সাপোর্ট পেয়েছি। বিশেষ করে আমার বাবা-মায়ের। পেয়েছি লেখক, কবি ও সাহিত্যিকদের অসংখ্য ভালোবাসা। সবকিছু মিলিয়ে আমাকে অনেকটা এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে।
উপস্থাপক: সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে কখনও সমালোচনার স্বীকার হয়েছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: বহুবার হয়েছি।
উপস্থাপক: আপনি কি কারও সমালোচনা করেছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: চেষ্টা করিনি কখনও বা সাহিত্য চর্চা করতে গিয়ে কারও সমালোচনা করতে শিখিনি। কারণ কারও সমালোচনা করা আমার জন্য খুব জরুরী বিষয় না। আর আমার কাছে মনে হয়, আমি যার বিরুদ্ধে সমালোচনা করবো তার সমালোচনা করার মতো যোগ্যতা আসলে আমি রাখি কিনা সেটা আমাকে আগে জানতে হবে। তবে অন্যায়ের সাথে আপোষ করিনি। অসংখ্য অন্যায় মন্তব্য পেয়েছি সোস্যাল মিডিয়ায় অনেকের। যাদের মন্তব্য ভালো লাগেনি বা আমার কাছে মনে হয়েছে অন্যায় বা খারাপ কিছু তাদের কাছ থেকে নীরবে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিয়েছি।
উপস্থাপক: একজন লেখক কে আসলে আপনি কিভাবে দেখতে চান?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আমার কাছে একজন লেখক হবেন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক, অন্যায়ের সাথে আপোষহীন। দলাদলি, চামচামি, অসাধু, সুবিধাভোগী মানুষ কখনও সত্যিকারের লেখক হতে পারেনা। একজন সত্যিকারের লেখক হবেন দেশ, মাটি ও মানুষের। সে সবার প্রিয় একজন মানুষ হয়ে উঠবেন। একজন লেখক ন্যায়ের পক্ষে লিখবেন আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবেন এটাই হওয়া উচিত।
উপস্থাপক: ধর্মীয় বিষয়ে আপনার অবস্থান কি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: ধর্মীয় বিশ্বাস টা আমার কাছে অনেক বড় একটি বিষয়। আমি আমার মহান আল্লাহ কে বিশ্বাস ও স্বীকার করি। তিনি এক ও অদ্বিতীয়। আমি মনে করি মহান আল্লাহর অশেষ করুণা ও দয়ায় আমি বেঁচে আছি। আপনি পৃথিবীতে যাই করেন না কেন শেষ অবদি আপনাকে ফিরে যেতে হবে মহান ঐ রবের কাছে। এই বিশ্বাসটুকু যখন আপনি হারিয়ে ফেলবেন তখন আপনার জীবন থেকে সবকিছু হারিয়ে যাবে। সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। আর মানুষকে সৃষ্টি করেছেন মহান আল্লাহ। কাজেই আপনাকে একসময় ফিরে যেতে হবে মহান সেই রবের কাছে। যার কোন বিকল্প নেই।
উপস্থাপক: কখনও আফসোস বা হতাশায় ভোগেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: মানুষের জীবনে কিছু না কিছু আফসোস বা হতাশা থাকবেই। এগুলো কে সাথে নিয়েই চলতে হয়। হতাশা বিহীন কখনও মানুষ হয় না। আপনি খুজে দেখলে আপনার মধ্যেও অনেক হতাশা খুজে পাবেন।
উপস্থাপক: হতাশ হলে আপনি কি করেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আমি হতাশ হলে কলম আর খাতা নিয়ে লিখতে বসি। ফলে হতাশা আমাকে ঘিরে ধরতে পারে না। আমার মনে হয় হতাশা থেকে মুক্ত থাকার জন্য এটা একটি ভালো উপায়।
উপস্থাপক: কারও প্রতি প্রত্যাশা কিংবা অভিযোগ আছে কি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: কারও কাছে প্রত্যাশা করাটা আমাদের একটি চরম ভুল সিদ্ধান্ত। তবু্ও আমরা এটা করতে ভালোবাসি। আর অভিযোগ? নাহ তেমন কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তবে অভিমান আছে।
উপস্থাপক: কি অভিমান আছে জানতে পারি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আসলে অভিমান কখনও প্রকাশ করতে হয় না। তাহলে সেটা আর অভিমান থাকে না।
উপস্থাপক: কখনও রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা রয়েছে কি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: ইচ্ছে নেই। আমি সবার ভালোবাসার মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে চাই। রাজনীতি মানুষের মধ্যে মানুষের বিবেধ সৃষ্টি করে। যা আমার পছন্দ না। আমি সাহিত্য চর্চায় নিজেকে বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করি। তাছাড়া আপনি ভালো কিছু করতে চাইলে রাজনীতি করা জরুরী না। অন্যভাবেও আপনি দেশ, সমাজ কিংবা মানুষের উপকারে আসতে পারেন।
উপস্থাপক: সুখে থাকা বলতে আসলে আপনি কি বোঝেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আপনি বা আমি সুখের যে সংজ্ঞা বুঝি এটা আসলে বাস্তবতার সাথে যায় না। এটা আসলে অবাস্তাব ও বাস্তবতার সাথে পুরোপুরি সাংঘর্ষিক। সুখ বলতে আমরা যা বুঝি বা বুঝাতে চাই এটা আসলে একটি কল্পনা বা বিলাসী চিন্তা ছাড়া আর কিছু না। আমার কাছে সুখ কে মনে হয় কারও কাছ থেকে দুঃখ কিংবা কষ্ট না পাওয়া কে।
উপস্থাপক: কোন জাতীয় খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আমি আসলে ঝাল আর টক জাতীয় খাবার বেশি পছন্দ করি।
উপস্থাপক: প্রিয় খাবার কি?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: বিরিয়ানি, হালিম, তেহারি
উপস্থাপক: প্রিয় রঙ?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: সাদা, কালো, আকাশি
উপস্থাপক: প্রিয় মানুষ?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আমার বাবা-মা
উপস্থাপক: ভবিষ্যতে কি করতে চান?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: দূরে কোথাও চলে যেতে চাই
উপস্থাপক: দূরে কোথাও বলতে?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: দেশের বাইরে। যদি সুযোগ হয় তবে চলে যাবো।
উপস্থাপক: শৈশবের ভালো লাগার মতো কোন স্মৃতি আছে আপনার?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: হ্যাঁ আছে, প্রত্যেকটি শৈশবই অনেক সুন্দর। খালি গায়ে খালি পায়ে ফোকলা দাতে খেজুর পাতা দিয়ে নদীর পাড়ের রাস্তায় চরকি বানিয়ে যখন ঘুরানোর জন্য দৌড় দিতাম খুব ভালো লাগতো। অনেক আনন্দের ছিলো সেসব দিনগুলি।
উপস্থাপক: দাম্পত্য জীবনে কেমন আছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আলহামদুলিল্লাহ ভালো
উপস্থাপক: শুধুই কি ভালো?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: এর বেশিকিছু তো আপাতত দেখছি না।
উপস্থাপক: আপার তো এল.এল.বি ফাইনাল পরীক্ষা শেষ?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: হ্যাঁ
উপস্থাপক: আপা আইনজীবী আর আপনি সাহিত্যিক, দু’জন দুই মেরুর মানুষ হয়ে গেলেন না?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আসলে যে যেটাকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকতে পছন্দ করে। আমি সাহিত্যের মাঝে ভালো আছি, সে হয়তো আইনের মাঝে। সব সময় সবকিছুতে মিল হবে বিষয়টি এমন না।
উপস্থাপক: সাহিত্য চর্চায় আপা সহযোগিতা করেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: সে বাস্তবতা কে মূল্য দেয় আর আমি বাস্তবতা থেকে বিবর্জিত বা বিচ্যুত একজন মানুষ। আমার কাছে কেবল সাহিত্য চর্চাই প্রধান্য পায়। মাঝেমধ্যে সহযোগিতা করে।
উপস্থাপক: দেশ ও দেশের মানুষ কে নিয়ে কি ভাবছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: আসলে আমি আমার সামর্থ্যের মধ্যে থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছু করার। বিশেষ করে মাদকের বিরুদ্ধে একধরনের জনমত গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে এদেশের তরুণ-তরুণীরা মাদকের মতো একটি ভয়ংকর নেশায় আসক্ত না হতে পারে। এছাড়া নতুন লেখক ও পাঠক তৈরিতেও কাজ করে যাচ্ছি। জানি খুব সামান্য অবদান রাখতে পারছি। তবুও চেষ্টা করে যাচ্ছি।
উপস্থাপক: দেশের তরুণদের নিয়ে কি ভাবছেন?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: দেখুন তরুণরা হচ্ছে একটি দেশের মেরুদন্ড। আমাদের দেশে প্রচুর মেধাবী তরুণ রয়েছে যাদের প্রতিভা কোন অংশে কম নয়। এসব তরুণদের কাজে লাগাতে পারলে দেশে বেকার সমস্যার সমাধান সহ নানা জটিল বিষয়গুলোর সমাধান করা যেতে পারে। তাই বেকারত্ব নিরসনে সবাই যে যার জায়গা থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
উপস্থাপক: শেষ প্রশ্ন? কোনটাতে আপনি ভালো করছেন? সম্পাদনা, উপস্থাপনা, গণমাধ্যমকর্মী, অভিনয়, নাকি সাহিত্য জগতে?
মোঃ রিসালাত মীরবহর: এটা একটি কঠিন প্রশ্ন। আমি ঠিক বলতে পারবোনা আমি আসলে কোনটাতে ভালো করছি। এটা আসলে যারা স্যোসাল মিডিয়ায় রয়েছেন তারা বলতে পারবেন। তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি ভালো কিছু করার জন্য।
উপস্থাপক: আপনার জন্য শুভকামনা। ভালো থাকবেন।
মোঃ রিসালাত মীরবহর: জি আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। দোয়া ও শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।

উপস্থাপক:
মোসাঃ শামীমা বেগম (মাষ্টার্স প্রথম বর্ষ)
সিলেট এম.সি কলেজ, সিলেট, বাংলাদেশ।
Writer & Editor। Obalardak
E-mail: obalardak@gmail.com
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +88 01516332727 (What's App)
Mobile: +88 01516332727 (What's App)
☛ আমাদের অনলাইন শপে ভিজিট করুন: OBALARSHOP