Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

Headline

Notice: To read this website in your country's language, please change the language. Contact us for advertising: +8801516332727 (What's App) Thank you.

প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ভালোবাসার কোন বিকল্প নেই

মোঃ রিসালাত মীরবহর।। পৃথিবীতে ভালোবাসা না থাকলে হয়তো পৃথিবীটা একটি মরুর মত লাগতো। যেখানে কোন প্রাকৃতিক দৃশ্য নেই। নেই কোন ভালোবাসা, মায়া কিংবা মমতা। যেদিকে তাকাই কেবল মনে হয় শুধু হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকা হয়তো স্বপ্ন বিলাস ছাড়া আর কিছুই নয়। হয়তো কথাগুলো আপনার আমার হৃদয় ছুয়ে যাবে না। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো আমরা মানুষ আস্তে আস্তে সেদিকেই যাচ্ছি। যেখানে থাকবেনা কোন তরুলতা, প্রকৃতি প্রেম, মানুষের সাথে মানুষের আশা আকাঙ্খা কিংবা ভালোবাসা। আমরা দেখতে পাবো না তক্ত মরুর ভিতরে দৃশ্যমান কোন প্রকৃতির সাজ সাজ কোলাহল। ভালোবাসা ছাড়া আমরা আটকে যাবো তক্ত মরুর সেই উত্তপ্ত বালুচরে। হয়তো আমাদের বাঁচাতে আসবে না সয়ং প্রকৃতিও।

কথা বলছিলাম প্রকৃতি নিয়ে। প্রত্যেকটি মানুষ প্রকৃতির কাছাকাছি থেকেও আমরা প্রকৃতিকে বুঝতে পারি না। আর বুঝতে পারিনা বলেই সেটা উপভোগ করতে আমাদের খুব কষ্ট হয়। হয়তো এ জগৎ সংসারে একসময় এসেছি আবার ফিরেও যাবো। কিন্তু আমাদের আসা আর যাওয়ার মাঝে ভালো কিছু রেখে যাওয়ার যে বাসনা সেটা হয়তো আমাদের কাছে টানে না। আমরা কেবল উন্নত বিশ্বের আধুনিকতাকেই ভালোবেসে ফেলেছি। আর আকরে ধরেছি নিজ স্বত্তাকে। নিজেকে নিয়ে ভাবনার জন্যই বোধহয় আমাদের পৃথিবীতে আগামন। আমরা ত্যাগ করতে চাইনা, চাইনা মানবের কল্যাণে কাজ করতে। অধিকাংশ মানুষ আমরা সমাজকে দায়ী করি। নষ্ট সমাজের কুকীর্তি বলে বেড়াই। কিন্তু আমরা কি কখনও ভেবে দেখেছি আমি বা আপনি সামাজ কে সুন্দর করতে কি দিয়েছি? নিজ স্বার্থকে জাগিয়ে তুলতে আমরা যেন সদাই প্রস্তুত।

২০২২ সাল থেকে অবেলার ডাক সবার জন্য সাহিত্য ম্যাগাজিনের কাজ শুরু করি। প্রকৃতিকে ভালোবেসে মানুষকে বুঝতে মানুষের কাছাকাছি যেতে আমি শুরু করি সাহিত্য চর্চা। পথটা খুব সহজ ছিল না। অবেলার ডাক ম্যাগাজিনের প্রথম দিকের একজন মানুষ একজন লেখক যিনি আমার কাছে কখনও কিছু চায়নি বরং নীরব পাশে থেকে দিয়ে গেছেন অনেক কিছুই। তবে আমিও তাকে কিছু দিতে পারিনি। কি দিব আমি? সাহিত্য ছাড়া যে আমার আর কিছুই নেই। 

কথা বলছিলাম ফরিদপুরের ভদ্র, মার্জিত ভালোবাসার মানুষটির কথা। যার নাম সৈয়দ জুনায়েদ আবীর। সম্ভবত অবেলার ডাকের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় সংখ্যা থেকে বোধহয় আটকে গেছেন আমার হৃদয়ে। কাজ করে গেছেন নিভৃতে, নীরবে। কোন আবদার যেন তাকে ছুতে পারে না। ভালোবেসে আজ দু’টি বছর অতিবাহিত করে গেছেন অবেলার ডাকের সাথে। আমাদের অফিসিয়াল পেইজে আমাদের সাহিত্য বিষয়ক কোন ঘোষণা থাকলেই যেন সাথে সাথে সেটা শেয়ার করে নিচ্ছেন তার নিজ প্রোফাইলে। পাশে থেকে দীর্ঘ সময় অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সাথে সময় দিয়েছেন আমাকে। অনেকবার ভেঙে পড়েছি। মনে হয়েছিল হয়তো হারিয়ে যাবো। হয়তো হারিয়ে যাবে অবেলার ডাক। তখনই ফোন করে ওপাশ থেকে কল করে বলতেন, ভাই আপনি হতাশ হবেন না, আপনি পারবেন। 

জুনায়েদ ভাইয়ের ঐ কথা তখন মনে হতো আমার কাছে আশার প্রদীপের মতো। মনে হতো আমার আরও অনেক দূর যেতে হবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। রেখে যেতে হবে আগামী পৃথিবীর জন্য ভালো কিছু। গড়ে যেতে হবে একটি শিশুর জন্য নিরাপদ আশ্রয় স্থল। যেন শিশুটি মুক্ত বাতাসে জীবনকে করতে পারে রঙিন। ভালোকিছুকে ভালোবাসলে সেটা আমাদের ভালো কিছু উপহার দিবে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে ভালোবাসার কোন বিকল্প নেই। জুনায়েদ ভাই সেই প্রকৃতি কে ভালোবেসে আজও অবেলার ডাকেই রয়ে গেছেন। সাহিত্য চর্চায় কোন স্বার্থ নেই অর্থ নেই তবুও যেন মানব কল্যাণেই আমাদের টানে।

ভোলার চরফ্যাশনে স্কুল শিক্ষার্থীদের কবিতা প্রতিযোগীতার জন্য একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিলাম। চেয়েছিলাম ওদের মধ্য থেকে গড়ে উঠুক সত্যিকারের সাহিত্য মনা কিছু মানুষ। প্রকৃতিকে ভালোবেসে মানব কল্যাণে ওরা যেন এক উজ্জ্বল দিশারী হয়ে ওঠে। তাই উদ্যোগ নেই ওদের কিছু ভালো বই উপহারের। স্যোসাল মিডিয়ায় অনেক ভাবে তাই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেই। কেউ কেউ এগিয়ে এসেছেন, কেউ কেউি এড়েয়ে গেছেন। অনেকে আবার প্রকৃতিকে ভালোবেসে অংশীদার হয়েছেন মানব কল্যাণে। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

ভোলা প্রতিনিধি জানালো পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপহার হিসেবে বই প্রয়োজন প্রায় ৪৫টি। অথচ সোস্যাল মিডিয়ার সুবাদে এতো এতো প্রচারণা করেও বই পেলাম মাত্র ৪-৫টি। হতাশায় আকড়ে ধরেছে আমাকে। কেবল ভাবছি আমার সব চেষ্টা বোধহয় বৃথা। হয়তো আমি পারবো না। কিন্তু এরই মধ্যে মোবাইলে বইয়ে জন্য টাকা পাঠায় আমার খুব কাছের ৩ জন মানুষ। এবার মনে হলো আমাকে হতাশ হলে চলবে না। যেতে হবে আরও দূর বহুদূর।

জুনায়েদ ভাই জানতে চাইলেন ভোলার অনুষ্ঠানের খবরা খবর। আমি এক প্রকার হতাশা ব্যাক্ত করে তাকে জানাই বই পেলাম না। কিভাবে পুরুস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান করবো। জুনায়েদ ভাই বললেন ভাই আপনি পারবেন, মনোবল হারাইয়েন না। আমি কি পারবো? কিছুই তো হচ্ছে না। আমার কাছে তখন মনে হলো এমন কি নেই কেউ যে এসে বলে আমি ভোলার অনুষ্ঠানের জন্য কিছু শিক্ষণীয় বই দিব। পেলাম না কাউকে। এমন সময় জুনায়েদ ভাই জানালো অনুষ্ঠানের জন্য তিনি নতুন ৩০ টি বই পাঠাবেন। তার একক বই ‘চৌকাঠ’। আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলাম। মনে হলো সবাই চলে যায় না, কেউ কেউ থেকে যায় কিছু না কিছু দেওয়ার জন্য মানবের কল্যাণে। সবাই স্বার্থ খোজে না, কেউ কেউ আছে যারা ভালোবাসাকে বোঝে। যারা এগিয়ে আসতে চায় মানুষের কল্যাণে, পৃথিবীকে ভালো রাখার জন্যে। আমার চোখে দেখা এমনই একজন মানুষ সৈয়দ জুনায়েদ ভাই।

কাছে কিংবা দূরে থেকেও ভালো কিছু উপহার দেওয়া যায় দেশ ও জাতীর কল্যাণে। আমরা চাই সুন্দর হোক আগামীর পৃথিবী যেখানে থাকবেনা কোন যুদ্ধ, থাকবেনা কোন মারামারি কিংবা আহাজারী। একটি শিশুও যেন অভুক্ত না থাকে। বঞ্চিত না হয় শিক্ষার সুন্দর পরশ থেকে। ওরা এই পৃথিবীর আগামীর ভবিষ্যৎ। তাই আসুন আমরা সুন্দর ভাবে সমাজ কে গড়ি এবং এই ধরণীকে বানাই আগামীর নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কল্যাণ হোক সকল মানবের। মানুষের প্রতি মানুষের প্রেম, ভালোবাসায় গড়ে উঠুক সুন্দর এক নিরাপদ বিশ্ব।

Risalat Mirbahar
Writer & Editor: Obalardak
E-mail:
 obalardak@gmail.com,
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +8801516332727 (What's App)
Copyright Ⓒ 2025 । All Right Reserved By Obalardak [Click More]