Hot Widget

Type Here to Get Search Results !

Headline

Notice: To read this website in your country's language, please change the language. Contact us for advertising: +8801516332727 (What's App) Thank you.

অবেলার ডাক সম্পাদক সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য

 

◉ আপনি কি জানেন আমি দেশের অনেকগুলো পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন ও সাহিত্য গ্রুপে লিখেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত লেখালেখি করে কোন সংগঠন থেকে কোন সম্মাননা সনদ, ক্রেস্ট, অর্থ কিংবা মেডেল লাভ করিনি। এতে আমার কোন আফসোস নেই। কারণ আমি ধরে নিয়েছি উপহার পাওয়ার মতো যোগ্য লেখক হয়ে এখনও উঠতে পারিনি আমি।

◉ মায়ের কিনে দেওয়া একটি টুপি আমি ৩ বছর ধরে ব্যবহার করে আসছি। আফসোস নেই।

◉ গত বারো বছরের অধিক সময় ধরে বাসায় একটি সিরামিক প্লেটে ভাত খেয়ে আসছি। আল্লাহর রহমতে যদি প্লেট টা না ভাংঙে তবে ঐ প্লেটেই খাবার খেয়ে যেতে চাই।

◉ আমার বিয়ের সময় আমার বড়লোক আত্মীয়-স্বজনরা দাওয়াতের অপেক্ষায় ছিলلأ আর্থিক সমস্যার কারণে আমি অনুষ্ঠান করতে পারিনি। দাওয়াত না পাওয়ায় অনেক আত্মীয়-স্বজনই সন্তুষ্ট হয়। কারণ তাদের কষ্ট করে টাকা খরচ করে বিয়েতে উপহার দিতে হবেনা। অথচ নোয়াখালীর অচেনা অজানা ছোট একটি মেয়ে তার জমানো ৫,০০০ টাকা দিয়ে আমার ও আমার স্ত্রীর জন্য মার্কেট করে পাঠায়। যা আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়েছে। আর নোয়াখালীর সেই ছোট মেয়েটিকে আমি আমার আরেকটি বোন ভাবি।

◉ ২০১৮ সালে ৭,৮০০ টাকায় কেনা মোবাইল দিয়েই চলছি। মোবাইলটার উপরের অংশে ডিস্পেলে তে কালো দাগ পড়ে গেছে।

◉ আমার জন্য মায়ের দেয়া গায়ের কাঁথাটা এখনো ব্যবহার করছি। যেটা অনেক আগে মা আমার জন্য তৈরি করেছিলেন।

◉ গত ৫ বছরের অধিক সময় পর্যন্ত বিদেশী সকল পণ্য বর্জন করেছি কেবল ২টি পণ্য বাদে। (পেষ্ট ও শ্যাম্পু)

◉ আলহামদুলিল্লাহ, ধার ব্যতীত গত ১৫ বছরে মহান আল্লাহ আর বাবা-মা ছাড়া অন্য কারও কাছে ব্যাক্তিগত কোন অর্থ সাহায্য চাইনি।

◉ লেখক জীবনে দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম কুমিল্লা কবি পরিষদ ও ডাক বাংলা সাহিত্য একাডেমী আমাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানায়।

◉ ছোট বেলাতে প্রায়ই সকালে মা পান্তা ভাত আর একটি শুকনো মরিচ দিয়ে খাবার দিতো। আজও সেটাকেই পছন্দ করে খাই।

◉ এখন পর্যন্ত আমি বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত নই। এমনকি গত ১৪ বছরে কোন স্থানীয় কিংবা জাতীয় নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করিনি।

◉ আমার পরিবার গত ৩৫ বছরে কোন সরকারি ভাতা গ্রহণ করেনি। যেমন: বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধি ভাতা, সরকারি রেশন, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, অবসর ভাতা, সরকারি বরাদ্দকৃত কোন ভাতা ইত্যাদি।

◉ আমি কখনও কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করিনা। এমনকি চা খাওয়ার অভ্যাসও নেই আমার। এজন্য লোকে আমাকে অসামাজিক বলে। হয়তো লোকের কথাই সত্যি। অথচ ২০২১ সালে আমার বাবার মোবাইলে কল করে বলা হয় আমি নাকি মাদক কারবারি। আমার অপরাধের জন্য বাবাকে নাকি ডিবি অফিসে হাজিরা দিতে হবে। (অথচ তখন আমি করোনা আক্রান্ত ছিলাম)

◉ এ পর্যন্ত ৭-৮ টি চাকরি করেছি আমি। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে নিজেকে অযোগ্য বলে মনে হয়েছে। তাই চাকরি ছেড়ে দিয়ে চলে এসেছি।

◉ কারও চাটুকারিতা করতে পারিনা। এজন্য আমার অবস্থারও উন্নতি হয় না। তাই অনেকে বলে আমি নাকি গাঁধা। স্রোতের সাথে নাকি আমি তাল মিলাতে পারিনা। গাঁধা হলেও তাতে আমার কোন আফসোস নেই। এমন কিছু করতে চাই না যা আমার দেশ ও মানুষের অকল্যাণ বয়ে আনে।

◉অনার্সে পড়ার সময় ২০০৮ সালে একজন দোকানীর কাছ থেকে ৩০ টাকা ধার নিয়েছিলাম। গত ১৬ বছর পর তাকে খুজে অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেই ৩০ টাকা পরিশোধ করেছি। গিয়ে দেখি তার অনেকগুলো চুল পেঁকে গেছে। তার হাত ধরে বলেছি যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়। দোকানী মুচকি একটি হাসি দিয়ে জানায় সে আমাকে চিনতে পারেনি।

◉ জীবনে তিন বার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। প্রথমবার, যখন আমি খুব ছোট হাটা শিখিনি। কাজের মেয়ের কাছে টাকার বিনিময়ে আমাকে আইসক্রিম ওয়ালা কিনতে চেয়েছিলো। কাজের মেয়েটি রাজি না হওয়ায় আইসক্রিম ওয়ালা আমাকে নিয়ে ধস্তাধস্তি শুরু করে। তখন কাজের মেয়েটি বুঝতে পেরে আমাকে নিয়ে বাসার দিকে দৌড় দেয়। দ্বিতীয়বার, আমার এক চাচাতো ভাইয়ের বন্ধু আমার ঘার ইচ্ছে করে মোচরানোর চেষ্টা করেছে। তখন মনে হয়েছিলো হয়তো আমার ঘার বেকে যাবে অথবা আমার মৃত্যু হবে। কারণ কষ্টে চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে আসছিলো। আর তৃতীয়বার, আমার এক খালাতো ভাই পুকুরে আমাকে ইচ্ছে মতো চুবনি দিয়েছে। প্রতিবার মনে হচ্ছিলো হয়তো আমি আর বাঁচবো না। কারণ আমার শ্বাস শেষ পর্যায়ে চলে আসছিলো।

◉ আমি সাত দিন হাসপাতালের ইমারজিন্সিতে ভর্তি ছিলাম। তখন মনে হয়েছিল মৃত্যু কত কঠিন আর বাস্তব এক নির্মম সত্য।

◉ আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা, বাবা সারাজীবন সৎ পয়সায় ইনকাম করে আমার ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করছেন। অথচ তার এই বৃদ্ধ বয়সে আমি তার ভরণপোষণের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারছিনা।

◉ দোকানে গেলে আগে আমি আমার দেশের পণ্য কিনতে চাই। কারণ দেশের মাটি ও মানুষের মাঝেই আমার বেড়ে ওঠা। তাদের সাথে আমি কিভাবে বেঈমানী করি?

◉ জীবনে অনেকেই টাকা দিয়ে কিনতে চেয়েছে। কখনও কেউ কিনতে পারেনি। মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা, যেন এমনটা কেউ করতেও না পারে।

◉ আমি এখন আর কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত হই না, কারণ সবকিছু মহান আল্লাহর উপর ছেড়ে দিয়েছি। আমার ধারণা তিনি যেহেতু আমাকে সৃষ্টি করেছেন, কাজেই আমার জন্য তাঁর উত্তম চিন্তা বা পরিকল্পনা রয়েছে। শুধু শুধু আমার জন্য আমি চিন্তা করে হতাশ হওয়ার কোন মানে হয়না।

◉ আমার হাতের ঘড়িটা গত ৩ বছর যাবৎ ব্যবহার করছি। মাত্র একবার ৬০ টাকা দিয়ে ঘড়ির বেটারী পরিবর্তন করেছি। কিন্তু বেটারী পরিবর্তনের ২ মাসের মাথায় ঘড়িটি ঠিকমতো সময় দিচ্ছেনা। তবুও ঘড়িটি এখনো পড়ছি। কারণ যদি কেউ জিজ্ঞেস করে নষ্ট ঘড়ি কেন পড়ছেন? উত্তরে আমি তাকে জানাবো, সৎ পয়সায় এর চেয়ে ভালো কিছু সম্ভব নয়।

◉ পানি মহান আল্লাহর এক বড় নেয়ামত। আমার ছোটবেলায় আমাদের গ্রামের বাড়িতে টিউবওয়েল ছিল। তখনকার সময়ে অনেক বাড়িতে টিউবওয়েল কল্পনা করা যেত না। আশেপাশের অনেক বাড়ি থেকে বিনা বাঁধায় সে টিউবওয়েল দিয়ে অসংখ্য মানুষ বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতো। অথচ ঢাকায় বেড়াতে এসে বাড়িওয়ালা পানি খরচের জন্য অতিরিক্ত পয়সা আবদার করছে এমনকি সে পয়সা হিসেব করে দিতেও হয়েছে।

Risalat Mirbahar
Writer & Editor: Obalardak
E-mail:
 obalardak@gmail.com,
Barishal Sadar, Barishal, Bangladesh
Mobile: +8801516332727 (What's App)
Copyright Ⓒ 2025 । All Right Reserved By Obalardak [Click More]